কিছু দিন আগে দক্ষিণী তারকা নাগা , চৈতন্য এবং সামান্থা রুথ লর্ডের বিবাহবিচ্ছেদের খবরে বিধ্বস্ত
হয়েছিলেন। এবার প্রকাশ্যে এল দক্ষিণের আরেক তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের খবর।দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি
টেনেছেন দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার ধানুশ ও তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোট শেয়ার করে তারা এই
খবর জানিয়েছেন। তাদের দুজনের বক্তব্য অনেকটাই মিল। ধানুশ তার বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে টুইটারে লিখেছেন,
“আমি 18 বছর ধরে একজন বন্ধু হিসাবে, একজন দম্পতি হিসাবে, একজন পিতামাতা হিসাবে, একে অপরের
উপকারকারী হিসাবে একসাথে ছিলাম। আমাদের সফর ছিল বোঝাপড়া, ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি, অভিযোজন। আজ
কিছু দিন আগে দক্ষিণী তারকা নাগা
আমরা দাঁড়িয়েছি। এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে আমাদের পথ আলাদা হয়ে যায়। ঐশ্বরিয়া এবং আমি দম্পতি হিসেবে আলাদা হওয়ার এবং একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার জন্য সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন, এবং এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের গোপনীয়তা প্রয়োজন।”ধানুশ 16 নভেম্বর, 2004 সালে দক্ষিণী মেগাস্টার রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেছিলেন। তখন ধানুশের বয়স ছিল মাত্র 23 বছর। ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়ার প্রথম দেখা হয়েছিল 2003 সালে একটি ছবির সেটে। তাদের দুই ছেলের নাম যাত্রা রাজা এবং লিঙ্গ রাজা।এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের কথা বলেছিলেন ধানুশ। এ প্রসঙ্গে ধানুশ বলেন, “এই ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।আমার ছবি ছিল “কাধল কোন্ডে” এর প্রথম প্রদর্শনী। আমি পুরো
পরিবার নিয়ে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম
পরিবার নিয়ে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। ছবি শেষ হওয়ার পর সিনেমা হলের মালিক মেয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেন। রজনীকান্ত স্যার, এবং বিউটি। আমরা শুভেচ্ছা বিনিময় করে চলে গেলাম। পরের দিন ঐশ্বরিয়া আমাকে একটি ফুলের তোড়া পাঠালেন। আরেকটি নোটে লেখা ছিল, “ভালো কাজ। যোগাযোগ রাখুন।” আমি তার কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম।ধানুশ ও ঐশ্বরিয়াধানুশ তার ফিল্ম কেরিয়ার শুরু করেন 2002 সালে। এরপর তিনি একাধিক হিট ছবি উপহার দেন। অর্ধশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এই দক্ষিণী তারকা। ‘আতরঙ্গি রে’ ছবিতে তাকে শেষ দেখা গেছে পর্দায়। আনন্দ এল. রাই পরিচালিত, তার সঙ্গে ছিলেন সারা আলি খান এবং অক্ষয় কুমার। এই ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
