নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের , উদ্যোগের বিষয়ে বিএনপি বলছে, পাহাড়ি ইঁদুর ছাড়া আর কিছু হবে না। এতদিন যা

প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল তা এখন বৈধ হবে।মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য

নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে এ সংবাদ

সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবিধানে আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তা করা হয়নি।

অবশেষে সেই আইনেই ইসি গঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল এ সংক্রান্ত খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাছাই কমিটির

মাধ্যমে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।গতকাল সকালে জাতীয় সংসদ

ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর

খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে প্রশ্ন করা হয়, আসন্ন নির্বাচন কমিশন হবে কি না? এই আইনের

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের

মাধ্যমে গঠিতকে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন দায়িত্ব নেবে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. ইসি। আব্দুল হামিদ। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সংলাপে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইসি গঠনের পক্ষে আইনের প্রস্তাব দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে গতকাল রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগও ইসি গঠনে আইনের প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আইনে কোনো সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ বা আইনজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। পৃথিবীর কোথাও এমন নিয়ম নেই। কমিশন এমন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে যারা সারাজীবন সরকারি আদেশ পালনে অভ্যস্ত। তাই এটি ‘ইয়ে লাউ সেই কাদু, বরং পচা কাদু’।ইসি গঠন আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর আগের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আইনমন্ত্রী তার কথা

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আইনমন্ত্রী তার কথায় অটল নন। এক এক করে কথা বললেন। পরস্পরবিরোধী কথা বলেছেন।নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকার ও তাদের গঠিত কোনো কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা সংলাপে গেছেন তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আবার রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই। এই সংলাপে কোনো অর্জন নেই। সংলাপের জায়গায় সংলাপ, সিদ্ধান্তের জায়গায় সিদ্ধান্ত।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপির পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম

আরো পড়ুন