উমা চৌধুরী অবশ্যই ভালো লাগছে , কারণ, নাটোর পৌরসভার বয়স দেড় শ’ বছরের। এত পুরনো পৌরসভায় পরপর দুইবার কেউ
মেয়র নির্বাচিত হননি। এই প্রথম সময়। আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নাটোরের
নাগরিকসহ আমার দলের সকল নেতা-কর্মীদের প্রচেষ্টায় এ বিজয়। মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে গর্ব করার মতো বিষয়। আপনি কি একজন
নারী হিসেবে এই গর্ব অনুভব করেন, নাকি একজন দলের কর্মী হিসেবে?উমা চৌধুরী: আমি নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করি না। যে কাজ
করতে জানে, সে কাজ করতে পারবে, সে নারী হোক বা পুরুষ। আমি সততার সাথে কাজ করেছি। রাজনীতিতে সততার বড় অভাব।
আমি এটা সম্পর্কে খুব কঠোর ছিল. এটাই বড় ব্যাপার। আমি অসৎ নই, লোকে জানে। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি নারীদের কাজের
ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সৎ। এটা কি আপনার ক্ষেত্রে সত্য?উমা চৌধুরী: আমি মনে করি নারীরা সবকিছুতেই সৎ থাকার চেষ্টা করে।
উমা চৌধুরী অবশ্যই ভালো লাগছে
তাদের ধৈর্য বেশি। আর এ জন্য তারা মানুষের সঙ্গে বেশি মিশতে পারে। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে পারে। ধৈর্যশীল মানুষ বেশি সৎ
হয়। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। আবার উল্টো চিত্রও আছে। নারীর প্রতি সহিংসতাও বাড়ছে। একজন নারী হিসেবে কাজের প্রতিবন্ধকতা
হিসেবে কী দেখেন?উমা চৌধুরী: আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি। আমার বাবা প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী (নাটোর
পৌরসভার চেয়ারম্যান ও এমপি) এর ইমেজ আমার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। হয়তো সে কারণেই তাকে এত বড় প্রতিকূলতা মোকাবেলা
করতে হয়নি। পৌরসভা শুধু মেয়র দ্বারা পরিচালিত হয় না; কাউন্সিল আছে। অনেক জায়গায় শুনেছি কাউন্সিলের কারণে অনেক
জায়গায় মেয়ররা ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। আমার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। কাউন্সিলরদের সহযোগিতা পেয়েছি। শঙ্কর গোবিন্দ
তবে নাটোরের একাধিক নেতার কাছে
তবে নাটোরের একাধিক নেতার কাছে শুনেছি তিনি সব দলের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ তার কাছ থেকে সমর্থন পান। এখন নাটোরের মানুষ তার মেয়ের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা কতটা আশা করে বা পায়?উমা চৌধুরী: যে দল করুক, মানুষের কাজ সে করেনি। তিনি সবার উপকার করেছেন। আমিও সেদিকে কাজ করার চেষ্টা করি। আমি আমার বাবার শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার অগ্রাধিকার কী হবে?উমা চৌধুরী: গত মেয়াদে পাঁচ বছরের মধ্যে দুটি করোনায় গিয়েছিল। সরকারের কাছ থেকে কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ পাইনি। যার কারণে কাজ করতে পারিনি। কিন্তু করোনার সময় মানুষের পাশে থেকেছি। আমি আমার সাধ্যমত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক